থা’নার সামনে মধ্যরাতে পড়ে থাকা কে এই মডেল শান্তা?

কে এই মডেল শান্তা – থা’নাতেই কখনো গড়াগড়ি খাচ্ছেন, আবার কখনো অ’জ্ঞান হয়ে যাওয়ার ভান করছেন। তার এমন কাণ্ড দেখে বিস্মিত পু’লিশও। মধ্যরাতে একপর্যায়ে তাকে থা’না থেকে বের করে দেয়া হলে থা’নার সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তিনি।
মডেলের এমন কাণ্ড দেখে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। এক পর্যায়ে তার দেখাশোনায় চার না’রী পু’লিশ মোতায়েন করা হয়। খোঁ’জ নিয়ে জানা গেছে, মেয়েটি নিজেকে মডেল বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। নাম শান্তা পাল।
১ নভেম্বর বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রমনা থা’নায় চলে শান্তার এমন কর্মকাণ্ড। ঘ’টনা সম্পর্কে জানা গেছে, সম্প্রতি রাজধানীর রমনা থা’নায় নাট্যনির্মাতা ফয়সালের বি’রুদ্ধে শ্লী’লতাহানি ও পাওনা টাকা না দেয়ার অ’ভিযোগ করেন শান্তা।
তারপরই পু’লিশ ফয়সালকে আ’টক করে। এরপরই রমনা থা’নায় এসে লঙ্কাকাণ্ড বাধান শান্তা পাল। শান্তার দা’বি, নানা প্র’লোভনে শান্তাকে ২০১২ সাল থেকে শ্লী’লতাহানি করে আসছেন নির্মাতা ফয়সাল। এ বছরও একবার শ্লী’লতাহানি করেছেন ওই নির্মাতা।
এছাড়া ফয়সালের কাছে টাকা পান তিনি। সেই টাকা আদায় করে দেয়ার জন্য একপর্যায়ে পু’লিশকে চাপ প্রয়োগ করেন। টাকা আদায় করে দেয়ার প্রস্তাবে পু’লিশ সাড়া না দিলে শুরু হয় শান্তার চিৎকার-চেঁচামেচি। কখনো কান্না করেন, কখনো অ’জ্ঞান হওয়ার ভান করেন আবার কখনো গড়াগড়ি দিতে থাকেন থানাতেই।
বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত থা’নায় এমন বিস্ময়কর ঘ’টনার জ’ন্ম দেন শান্তা। একপর্যায়ে পু’লিশ তাকে থানা থেকে বের করে দিলে রাস্তায় এসে শুয়ে পড়েন তিনি। শান্তা বড় ধরনের দু’র্ঘটনা ঘটাতে পারে- এমন আশঙ্কায় মধ্যরাতে ফয়সালকে তার জি’ম্মায় ছেড়ে দেয় পু’লিশ।
সেসময় শান্তা ফয়সালের বি’রুদ্ধে করা অ’ভিযোগও তুলে নেন এবং ফয়সালকে সঙ্গে নিয়ে থা’না থেকে বের হয়ে যান। এ প্রসঙ্গে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, ওই তরুণী ক্রমাগত সিনক্রিয়েট করছিলেন।
পাঁচ-ছয় ঘণ্টা যে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি, তা আমাদের কাছে একদমই নতুন অভিজ্ঞতা! সত্যি বলতে আমরা সবাই বিস্মিত! একপর্যায়ে তার জি’ম্মাতেই রাত ১টার দিকে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে শান্তা দা’বি করেন, এসব কিছু হয়নি। আমি আসলে মা’মলা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পু’লিশ মী’মাংসার কথা বলায় আমি নমনীয় হই। একপর্যায়ে আ’সামীকে হাজতে ঢুকানোর কথা বললে আমি সিনক্রিয়েট করি। এরপর আ’সামীকে ছেড়ে দেন। আমরা বাসায় চলে আসি। আমাদের মধ্যে এখন আর কোনো দ্ব’ন্দ্ব নেই!