আরাভ প্রলোভন দিয়ে আমার মেয়েকে নিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে : কালাম

দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরভ খানের ব্যাক্তিগত নানা তথ্য বেরিয়ে আসছে একের পর এক এবং তিনি কিভাবে প্রতারণা করেছেন সেটি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে তারই ধারাবাহিকতায় এবার আরভের বিচার চান তার শ্বশুর আবুল কালাম। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গণডোব পুকুরপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম দুবাই থেকে আসা স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরভের শ্বশুর। তিনি বললেন- আমরা তাকে নামেই চিনতাম। আমি জানতাম সে ঢাকার আপন জুয়েলার্সের মালিক। এলাকায় এসে দামি গাড়িতে চড়েন।
তার হাঁটার পোশাক ছিল খুবই বিলাসবহুল। তিনি সবসময় তার হাতে এবং গলায় ভারী সোনার চেইন ব্যবহার করতেন। কয়েকদিন পর তার মামা শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে শ্বশুরের ডিসকভারি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এর আগে বোঝার উপায় ছিল না যে আরব এত বড় সন্ত্রাসী এবং খারাপ স্বভাবের ছেলে। আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে আরব শুধু তার ক্ষতিই করেনি, একমাত্র মেয়ে কেয়াকে নিয়ে আমাদের স্বপ্নও নষ্ট করেছে। আমি এই আরাবের বিচার চাই।
আবুল কালাম জানান, এসএসসি পাসের পর মেয়েটি ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যায়। সেখানেই মেয়েটির সঙ্গে আরভের পরিচয় হয়। দুজনেই সুন্দরী, তাই সম্পর্ক স্থাপিত হলে আমার মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের কয়েকদিন পর তারা মেহেরপুর বেড়াতে আসে। তিনি আরো জানান, নগরীর শামসুজ্জোহা পার্কের সামনে পশ্চিম গলির একটি বাসায় মেয়েকে নিয়ে ৩/৪ মাস ধরে ভাড়া বাসায় থাকতো আরভ। এরপর স্ত্রীকে বলেন শহরে পার্লার করতে।
আবুল কালাম বলেন, মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কিছুদিন পর পুলিশ এর সেই মামলা হলে আরব ও আমার মেয়েকে আসামি করা হয়। এরপর আরব পালিয়ে যায়। ওই মামলায় ওই ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হলে দেড় বছর জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পাওয়ার পর আমরা মেয়েটিকে বাড়িতে রাখি, কেয়াকে পরামর্শ দিয়ে আরাভের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি। আরভ তারপর তাকে তার কাছে যেতে না দিলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারপর মেয়েটা আবার আরভের কাছে গেল।
আবুল কালাম আরও বলেন, কেয়া আরভকে ছেড়ে মালয়েশিয়ায় চলে যায় এবং সেখানে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আরভ শুধু আমার মেয়ের জীবনই শেষ করেনি, তাকে তাদের জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে, আবুল কালাম কাঁদতে থাকে। অরাভ যে এত বড় প্রতারক তা আগে জানা ছিল না।
প্রসঙ্গত, পুলিশ কর্মকর্তাকে না ফেরার দেশে পাঠানোর মামলায় আসামি ছিলেন দুবায়ের স্বর্ণ ব্যাবসায়ী আরাভ খান এটি মূলত প্রকাশ্যে আসে যখন বাংলাদেশ থেকে তারকারা গিয়েছিলেন আরবের জুয়েলার্স উদ্বোধন করতে। এর পড়ি শুরু হয় নানা আলোচনা।