Miscellaneous News

এবার দুবাই থেকে বড় দুঃসংবাদ পেল সেই আরাভ খান, তবে কি হলো না শেষ রক্ষা

শুধু বাংলাদেশ পুলিশের নজরদারিতে নয়, এবার দুবাই পুলিশের নজরদারিতেও রয়েছেন আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সেই রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। ইতিমধ্যেই দুবাই সরকার তার ভিসা বাতিল করেছে বলে জানা গেছে। আর সেহেতু খুব শীঘ্রই দুবাইয়ে আটক হতে পারেন আরাভ খান।

আরাভ আটক হলে তাকে ফেরত আনতে পুলিশের চার সদস্যের একটি দল প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার দিনভর আরাভের গ্রেপ্তারের গুঞ্জন শোনা গেলেও রাত পৌনে ৮টার দিকে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুকে দোয়া চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন সহায় হন।

দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, আরভ খানকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে দুবাই পুলিশের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আমি দুবাই পুলিশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। তার পালানো কঠিন।

এদিকে আরভ খানকে দুবাইয়ে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টি এখনও প্রকাশ্যে রয়েছে, সময় হলেই জানা যাবে। ঢাকা আনুষ্ঠানিকভাবে দুবাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বাংলাদেশের আসামিরা কোনো বন্ধু দেশে পালাতে পারবে না।

পুলিশ সদর দফতরের একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন যে দুবাইয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরভকে নজরদারিতে রেখেছে। ইন্টারপোলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবারও দুই দফা ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। দুবাই সরকার আরভের ভিসা বাতিল করেছে। তবে আটকের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ইন্টারপোল বা দুবাই পুলিশ আমাদের নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আরভকে গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের একটি দল দুবাইতে পাঠানো হবে। এজন্য চার পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি চাওয়া হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতরের দুই কর্মকর্তা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই কর্মকর্তা এই দলে থাকবেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, এ ধরনের তথ্য আমার কাছে নেই। তবে আশা করছি শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

জানা যায়, গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনের পর ব্যাপক আলোচনায় আসেন আরাভ খানের মালিক। সেই উপলক্ষে আরাভ খান বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের অনেক তারকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফেসবুকে বেশ কিছু পোস্ট করেছেন। এরপর পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে শনাক্ত করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। আরভ জুয়েলার্সের মালিক আরভ খানের আসল নাম রবিউল ইসলাম। তার বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। তিনি সোহাগ মোল্লা, হৃদয় শেখ, আপন নামেও পরিচিত।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে তারকাদের নিয়ে দুবাইয়ের গোল্ড সউক এলাকায় আরাভ খানের সোনার দোকান ‘আরভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন করা হলেও এখন সেই দোকানটি তালাবদ্ধ। দোকান থেকে সব সোনার গয়না খুলে ফেলা হয়েছে।

এদিকে আরাভ খানের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মনজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আরাভ খানের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য মেলেনি।

পাঠকের মতামত:

Back to top button