গ্যাস লাইনে লিকেজ, বিস্ফোরণে প্রাণ গেল ছেলেসহ বাবা-মার

সাভা’রের আশুলিয়ায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বি’স্ফোরণে দ’গ্ধ একই পরিবারের তিনজনের মৃ’ত্যু হয়েছে। তবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেন বাড়ির মালিক।
বুধবার দুপুরে ওই তিনজনের মৃ’ত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৃ’তদের স্বজন আজিজুল ইস’লাম। এর আগে শনিবার ভোরে আশুলিয়ার দুর্গাপুর পূর্বচালা এলাকায় শহিদ হাজির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃ’তরা হলেন- আবুল কাশেম, তার স্ত্রী’ ফাতেমা বেগম ও তাদের ছয় বছরের ছে’লে আল-আমিন। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজে’লার চণ্ডিপাশা গ্রামে। আবুল কাশেম কন্টিনেন্টাল নামে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার স্ত্রী’ একই এলাকার সাউদার্ন নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
মৃ’তদের প্রতিবেশী অটোচালক শহিদুল ইস’লাম বলেন, তিন মাস আগে পরিবার নিয়ে শহিদ হাজির দোতলা বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন আবুল কাশেম। স্বামী-স্ত্রী’ দুইজনই কারখানায় কাজ করতেন। শনিবার ভোরে কারখানায় যেতে ঘুম থেকে ওঠেন তারা।
এ সময় রান্নাঘরে আ’গুন জ্বালালে বি’স্ফোরণ ঘটে। চি’ৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দ’গ্ধ অবস্থায় আবুল কাশেম, ফাতেমা ও আল-আমিনকে উ’দ্ধার করে সাভা’রের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে নেয়।
মৃ’ত কাশেমের মামা আজিজুল ইস’লাম বলেন, ভাগনে কাশেমসহ তার পুরো পরিবার দ’গ্ধ হয়েছে। রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে কাশেমের ছে’লে আল-আমিন মা’রা যায়। পরদিন এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা খরচ চালানো সম্ভব নয় চিন্তা করে কাশেম ও তার স্ত্রী’কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের বার্ন ইউনিটে নেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু হাসপাতা’লে নেয়ার পথে কাশেমের মৃ’ত্যু হয়। পরে ফাতেমা’র অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃ’ত্যু হয়।
এদিকে অ’গ্নিকা’ণ্ডে একে একে তিনজনের মৃ’ত্যু হলেও বাড়ির মালিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। ঘটনার তিনদিন পর পু’লিশের ঊর্ধ্বতন কর্মক’র্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে প্রভাবশালীদের ভ’য়ে এ নিয়ে মুখ খোলেননি কেউ।
আশুলিয়া থা’নার এসআই সামিউল ইস’লাম বলেন, বি’স্ফোরণে দ’গ্ধ হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃ’ত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পু’লিশের ঊর্ধ্বতন কর্মক’র্তারা ঘটনাস্থলে যান। এর আগে ঘটনার দিন বিষয়টি জানানো হয়নি।
তিনি বলেন, প্রাথমিক ত’দন্তে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বি’স্ফোরণের ঘটনার বিষয়টি জানা গেলেও ত’দন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।