Miscellaneous News

জে’নে নিন ওয়াইফাইয়ের গতি বাড়ানোর কৌশল!

ওয়াইফাইয়ের গতি – ওয়াইফাইয়ের স্পিড নানা কারণে কমে যেতে পারে। আর রাউটারের উপর অনেকাংশেই ইন্টারনেটের স্পিড নির্ভর করে। এছাড়াও গো’পনীয়তা র’ক্ষার অভাবেও অনেক সময় অনেক তথ্য অন্যের কাছে চলে যেতে পারে। আসুন জে’নে নেই ওয়াইফাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং কী করলে শ’ক্তিশালী হবে ওয়াইফাই নেটোয়ার্ক।

রাউটার আপগ্রেড: পুরনো অনেক রাউটারই ধীরগতিতে ইন্টারনেট সরবরাহ করে। আর এ সীমাবদ্ধতা দূ’র করার জন্য প্রয়োজন দ্রুতগতির রাউটার। এক্ষেত্রে আপনার রাউটারের গতি দেখে নিন। এটি যদি আপনার ইন্টারনেটের লাইনের তুলনায় কম গতির হয় তাহলে রাউটার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে।

রাউটারের অব’স্থান: ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর সবচেয়ে কাছাকাছি স্থানে কোনো বা’ধা ছাড়া রাউটার রাখার চেষ্টা করুন। বাড়িতে বহু ভারি ফার্নিচার থাকলে সেগুলোর আড়ালে নয় বরং সেগুলোর উপরে রাউটার বসান। এতে বা’ধামু’ক্তভাবে রাউটার আপনার ডিভাইসগুলোর স’ঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবে। এছাড়া বাড়ির এক প্রান্তে না রেখে তা বাড়ির মাঝামাঝি স্থানে বসানোই যুক্তিসঙ্গত।

চ্যানেল পরিবর্তন: আপনার রাউটারের ফ্রিকোয়েন্সি অন্য যন্ত্রপাতির ফ্রিকোয়েন্সির স’ঙ্গে কনফ্লিক্ট করছে কি না, তা জে’নে রাখু’ন। আপনার রাউটার যদি ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে তাহলে তা কর্ডলেস ফোন, মাইক্রোওয়েভ, ব্লুটুথ, সিসিটিভি ইত্যাদির স’ঙ্গে কনফ্লিক্টের সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে ৫ গিগাহার্জ কিংবা ভিন্ন কোনো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

বা’ধা এড়ান : রাউটারের স’ঙ্গে আপনার ডিভাইসের মাঝে দ্রুত যোগাযোগের পথে বহু জিনিসই বা’ধা সৃষ্টি ক’রতে পারে। এসব বা’ধার মধ্যে রয়েছে ধাতব দরজা, অ্যালুমিনিয়াম কাঠামো, ওয়াল ইনসুলেশন, পানির ট্যাংক বা অ্যাকুরিয়াম, আয়না, হ্যালোজেন লাইট, গ্লাস ও কংক্রিট। এ ধ’রনের বা’ধাগুলো যেখানে সবচেয়ে কম সেখানেই প্রয়োজনীয় যন্ত্র বা রাউটার স্থাপন করুন।

সফটওয়্যার আপডেট : রাউটার ও ইন্টারনেট সরবরাহের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়মিত আপগ্রেড হয়। একটু খেয়াল রেখে রাউটার ও মোবাইল ডিভাইস বা পিসির সফটওয়্যার আপডেট করে নিলে ইন্টারনেটের ভালো গতি পাওয়া যেতে পারে।

এক্সটেন্ডার : নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য এক্সটেন্ডার পাওয়া যায়। আপনার ওয়াইফাই রাউটার থেকে দূ’রে কোথাও ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এক্সটেন্ডার ব্যবহার ক’রতে পারেন।

প্রতিবেশী : আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ কোনো প্রতিবেশী ব্যবহার করলে এতে আপনার ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে। তাই প্রতিবেশীদের থেকে সা’বধান। অবশ্য কয়েকজন প্রতিবেশী মিলে একটি গতিশীল ইন্টারনেট নিয়ে তা শেয়ার করে ব্যবহার করাও একটি ভালো বুদ্ধি।

নি’রাপ’ত্তা বাড়ান : ওয়াইফাই ইন্টারনেটের জন্য WEP বাদ দিয়ে কিছুটা নি’রাপদ WPA/WPA2 ব্যবহার করুন। এটি ইন্টারনেট ব্যবহারে নি’রাপ’ত্তা নি’শ্চিত করবে। এছাড়া নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তনও প্রয়োজনীয়।

গো’পন রাখু’ন : ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে আপনার নাম ও ডিভাইসের বি’স্তারিত তথ্য দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তার বদলে সাংকেতিক নাম ও অত্যন্ত গো’পনীয় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

টিন ফয়েল ব্যবহার করুন : ওয়াইফাই রাউটারের অ্যান্টেনার বাইরে ডিশ অ্যান্টেনার মতো বা অন্য কোনো উপায়ে টিনের ফয়েল ব্যবহার করে সিগন্যাল বাড়ানো সম্ভব। অন্য উপায়গুলো কাজ না করলে এটি ব্যবহার ক’রতে পারেন।

পাঠকের মতামত:

Back to top button