তরুণীদের হোটেলে … ব্যবসা করানো কে এই ইভান?

তরুণীদের হোটেলে – জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। দেশের নামকরা কোরিওগ্রাফার তিনি। মাত্র চার বছর থেকেই নাচের সঙ্গে যোগসাজশ সোহাগের।
‘নিত্যভূমি’ নামে একটি নাচের দল রয়েছে তার। ‘ধ্যা’ততেরিকি’ চলচ্চিত্র জন্য সেরা নৃত্য পরিচালক হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।
এদিকে দুবাইয়ে ড্যা’ন্সবারের আড়ালে নারী পা’চারের অ’ভিযোগে জাতীয় পুর’স্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগকে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশের অ’পরাধ তদ’ন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সি’আইডির অ’র্গানাইজড ক্রা’ইম ই’উনিটের একটি দল রাজধানীর নি’কেতনের একটি বাসা থেকে গ্রে’ফতার করে। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নি’শ্চিত করেছেন সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার।
তিনি বলেন, ‘দুবাইয়ে ড্যা’ন্সবারের আড়ালে নারী পা’চারের অ’ভিযোগে স’ম্প্রতি আজম খানসহ পাঁচজনকে গ্রে’ফতার করা হয়। এদের মধ্যে দু’জন আদালতে স্বী’কারো’ক্তিমূলক জ’বানবন্দি দিয়েছেন।
জ’বানবন্দিতে উঠে আসে কোরি’ওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগের নাম। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সি’আইডির অ’র্গানাইজড ক্রা’ইম ইউনিট তাকে গ্রে’ফতার করে।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার সকালেই তাকে আ’দালতে সো’পর্দ করে অ’ভিযোগের বিষয়ে জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য রি’মান্ড আবেদন করা হবে।’
অ’ভিযানে অংশ নেয়া ও মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, গ্রে’ফতারকৃত চ’ক্রটি দুবাইয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অং’শগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে নৃ’ত্যশিল্পী নিয়ে যেতেন।
পরে এদের মধ্য থেকে ২/১ জন করে রেখে আসতেন। এই চ’ক্রের সঙ্গে জ’ড়িত কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। এ বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তে এবং পূর্বে গ্রে’ফতার আসামিদের জ’বানবন্দিতে কো’রিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সো’হাগের জড়িত থাকার তথ্য মি’লেছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, গত মাসে দুবাই পু’লিশের তথ্যের ভি’ত্তিতে আজম খানসহ নারী পা’চারকারী চ’ক্রের পাঁচ স’দস্যকে গ্রে’ফতার করে সি’আইডি।
সং’শ্লিষ্টরা জানান, এই চ’ক্রটি মূলত নৃ’ত্যকে’ন্দ্রিক। ক’য়েকজন নৃ’ত্য সংগঠক ও শিল্পী এই চ’ক্রের স’ঙ্গে জড়ি’ত। তারা দেশের বিভিন্ন নাচের ক্লাব বা সং’গঠন থেকে মেয়েদের সং’গ্রহ করে কাজ দেয়ার নামে দুবাই পাঠান। পরে দুবাইয়ের হোটেল ও ড্যা’ন্সবারে তাদেরকে যৌ’নক’র্মে বাধ্য করতেন।
চ’ক্রটির বাংলাদেশের মূলহোতা আ’জমসহ তার দুই সহযোগী ময়না ও মো. আলামিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ডকে গ্রে’ফতারের পর সিআইডি জানায়, প্রথমে হোটেলে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২০/২২ বছর বয়সী তরু’ণীদের প্র’লুব্ধ করা হতো।
বি’শ্বস্ততা অ’র্জনের জন্য বেতন হিসেবে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নগদ প’রিশোধ করা হতো। শুধু তাই নয় দুবাইয়ে যাওয়া-আসা বাবদ সব ধরনের খরচও দিত দা’লাল চ’ক্র। কিন্তু দুবাই যাওয়ার পরে তাদেরকে হোটেলে জি’ম্মি করা হয়, জো’রপূর্বক দে’হ ব্য’বসাসহ ড্যা’ন্সক্লাবে না’চতে বাধ্য করা হয়।