দাদার কবরের বাঁশ কাটতে গিয়ে নাতির ম-র্মান্তি-ক মৃ-ত্যু

দাদার কবরের বাঁশ – বৃদ্ধ দাদা অবসরপ্রা-প্ত স্কুল শিক্ষক রুস্তম খানের মৃ-ত্যু হয়েছে। তাই মরদেহ দাফনের প্র-স্তুতি নিচ্ছেন স্ব-জনরা। তারই অংশ হিসেবে কবরের জন্য বাঁশ কাটতে যান নাতি জামাল খান। কিন্তু সেই বাঁশঝাড়ে থাকা বিষা-ক্ত সাপের ছোবলে ম-র্মান্তিক মৃ-ত্যু হয় হতভাগ্য এই নাতির ।
চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ধেররা গ্রামে গত বুধবার মধ্যরাতে মর্মা-ন্তিক এই ঘ-টনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রা-প্ত শিক্ষক রুস্তম খান (৮০) গতকাল বুধবার বিকেলে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তার মৃ-ত্যুর সংবাদে দুরে থাকা আ-ত্মীয় স্বজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করেন।
এরমধ্যেই মৃত রুস্তম খানের নাতি পিকআপ ভ্যান চালক জামাল খান, দাদার দাফনের জন্য বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে বাঁশ কাটতে যান। সেখানেই বিষা-ক্ত সাপের ছোবলে আ-ক্রান্ত হন জামাল খান। এর আধাঘ-ন্টা পরই মৃ-ত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
এদিকে, বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতেই দাদা রুস্তম খানকে দাফন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দাফন সম্প-ন্ন হয় নাতি জামাল খানের।
এদিকে ছেলে জামাল খানকে হারিয়ে তার বাবা মনু খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, বৃদ্ধ বাবাকে হারিয়েছি তাতে ক-ষ্ট নেই। কিন্তু চোখের সামনে জলজ্যা-ন্ত ছেলেটাও এভাবে পরপারে চলে গেলো। এই বলে আবারও কা-ন্নায় ভে-ঙে পড়েন তিনি।
অন্যদিকে হাজী-গঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহবুব উল আলম লিপন এমন ম-র্মান্তিক মৃ-ত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘ-টনাস্থ-লে ছুটে যান।
ঘ-টনা সম্প-র্কে সময় সংবাদকে তিনি জানান, স্কুল শিক্ষক রুস্তম খান প্রবীণ ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃ-ত্যু স্বা-ভাবিক হলেও নাতি জামাল খানের মৃ-ত্যু গোটা পরিবারকে শোকাহত করেছে।
মেয়র এই জন্য তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে পরিবারটিকে হাজীগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।