Miscellaneous News

স্বামী পরিত্যক্ত শরিফা বেগমের অসামাজিক কার্যকলাপে বিরক্ত এলাকাবাসী, চালালেন গোপন অভিযান

স্বামী পরিত্যক্ত শরিফা বাড়িতে একা থাকতেন। এরই সুযোগ নিতো ৫ সন্তানের জনকআলমগীর হোসেন (৩৫)। প্রতিদিন চলতো অসামাজিক কার্যক্রম। অবশেষে শেষ রক্ষা হলো না তাদের।

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ৫ সন্তানের জনককে প্রেমিকাসহ আটক করেছে জনতা। সে উপজেলার জাইফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাও গ্রামের শাজন মিয়ার ছেলে। প্রেমিকা শরিফা বেগম (২৫) একই গ্রামের মৃ”/ত সিদ্দিক আলীর মেয়ে।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে জুড়ী থানার এসআই মহসিনের নেতৃত্বে পুলিশ ওই দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতেই পুলিশ ওই নারীকে ছেড়ে দেয়। আলমগীর হোসেনকে শনিবার (৮ অক্টোবর) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পূর্ব বেলাগাও জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার নুরুল মিয়া ও ব্যবসায়ী মনির মিয়া জানান, গ্রেফতারকৃত আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে স্বামী পরিত্যক্ত শরিফা বেগমের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এর জের ধরে শরিফার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শারীরিক সম্পর্কের কারণে আলমগীর প্রায়ই ওই বাড়িতে যেতেন। গত ১০/১৫ দিন আগে আলমগীরের স্বজনরা তাকে এই বলে ছেড়ে দেয় যে, জনতা তাদের গ্রেপ্তার করলে তাদের সুষ্ঠু বিচার করা হবে। পরে বিচারের নামে তারা বিলম্ব শুরু করে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে গতরাতে বান্ধবীর বাড়িতে তাকে হাতেনাতে ধরে ভিড়ের হাতে ধুয়ে গাছে বেঁধে পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে খবর দেয়। খবর পেয়ে জুড়ী থানার এসআই মহসিনের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় শত শত মানুষ তাদের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।

আলাপকালে বাসিন্দারা জানান, তাদের অসামাজিক কার্যকলাপে আমরা বিরক্ত। তিনি (আলমগীর) একাধিকবার গ্রেফতার হলেও প্রভাবশালী হওয়ায় বারবার অনৈতিক কাজ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। এতে এলাকায় সম্মানহানিসহ উত্তেজনা বিরাজ করছে। আলমগীরের স্বজনরা জানান, ১৫ দিন আগে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করলে তারা জিম্মি করে সুষ্ঠু বিচার করবে, কিন্তু কোনো বিচার তারা করেনি। আমরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ১৫ দিন আগে একবার ওই নারীর সঙ্গে তাকে ধরা হয়। এ সময় তার স্বজনরা তাকে জিম্মি করে তার সুষ্ঠু বিচার করার আশ্বাস দিলেও গতরাতে স্থানীয় লোকজন তাকে আবারও ওই নারীর বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

জয়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম রেজা বলেন, ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন আমাকে জানালে আমি পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনায় আলমগীরের পাশা পাশি সমান ভাবে অপরাধী শরিফা। তবে এই ঘটনায় শরিফাকে মুক্তি দিয়ে আলমগীরকে আটক করার বিষয়টা মেনে নিতে পারছেনা এলাকাবাসী। তারা উভয়ের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত:

Back to top button