হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছেন করোনাক্রান্তরা! জানুন লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাকে – ভারতে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে যে ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে তার মারাত্মক ফল ভোগ করছেন আক্রান্তরা। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে যে ৮০ শতাংশেরও বেশি আক্রান্তদের ক্ষেত্রে হসপিটালে ভর্তি করার কোন প্রয়োজন নেই।
তারা ঘরেই ডাক্তারদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে নিজেরা নিজেদের চিকিৎসা করতে পারে এবং সুস্থ হতে পারে। কিন্তু এটাও সত্যি কথা যে ইনফেকশন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে থাকে এবং এর পাশাপাশি এখন হৃদরোগ সংক্রান্ত নানা সমস্যাও সামনে আসছে।
সম্প্রতি এক পরীক্ষা জানাচ্ছে যে মহামারীতে আক্রান্ত ৫০% রোগীদের মধ্যে যাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তারা সুস্থ হওয়ার পরে হার্ট ড্যামেজ হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এ কারণে রোগী সুস্থ হবার পরও তার হার্ট রেট নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। এটি অবহেলা করলে জীবন নিয়ে সংকটে পড়তে পারেন তিনি।
এক্সপার্টরা জানাচ্ছেন যে মহামারীর ইনফেকশনের ফলে শরীরে ইনফ্লেমেশন অর্থাৎ শরীর ফুলে যাওয়া হতে পারে। এর ফলে হার্টের মাংসপেশিগুলো দুর্বল হতে থাকে। এ কারণে হৃৎস্পন্দন প্রভাবিত হয় এবং রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা তৈরি হয়।
এছাড়াও এই ভাইরাসটি সরাসরি আমাদের শ্বাসযন্ত্রে (respiratory system) আঘাত করে। একে এ সি ই ২ (ACE2) রিসেপ্টর বলা হয়। এটি মায়োকার্ডিয়াম টিস্যুর ভিতরে পৌঁছে সেগুলিকে ক্ষতি করতে পারে।
হৃদয়ের মাংসপেশী ফুলে যাওয়া কে মায়োকারডাইটিস (myocarditis) বলা হয়। সঠিক সময়ে এর প্রতি নজর না দিলে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পড়তে পারে।
এক্সপার্টরা বলছেন যে যারা মহামারীতে আক্রান্ত হওয়ার পরে তাদের হৃদয় ব্যথা অনুভব করছেন বা প্রথম থেকেই যাদের হৃদয় সংক্রান্ত সমস্যা ছিল ছিল তারা এর প্রতি অবশ্যই নজর দেবেন। বেশ কিছু রোগীর শরীরে দেখা যায় যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে কার্ডিয়াক সমস্যা বা হৃদয়ের মাংসপেশিতে দুর্বলতা এবং হার্ট ইজেকশন ফ্রাকশন হতে পারে।
একে রিলেটেড কার্ডিওমায়োপ্যাথি (cardiomyopathy) বলা হয়। মহামারীতে আক্রান্ত হবার পরে কার্ডিওমায়োপ্যাথিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।