কুড়িগ্রামে চলন্ত মোটরসাইকেলে বিষাক্ত সাপ, প্রাণে বাঁচলেন চালকসহ দুজন
কুড়িগ্রামে শহরে আরডিআরএস এনজিওর দুজন কর্মী অফিসের মোটরসাইকেলে চলন্ত অবস্থায় একটি বিষাক্ত সাপের কবলে পড়েন। তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটি দাঁড় করিয়ে প্রাণে বেঁচে যান তারা। রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম আরডিআরএসের দাশেরহাট শাখার কর্মী লুৎফর রহমান এবং শাখা ম্যানেজার মারুফা আক্তার বিশেষ কাজে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের দাশেরহাট অফিস থেকে অফিসের মোটরসাইকেলযোগে শহরে আসছিলেন। শহরের পৌরবাজার পার হয়ে কলেজ মোড় যাওয়ার সময় দেখেন মোটরসাইকেলের সামনের মিটারের ওপর একটি বিষাক্ত সাপ ফণা তুলে আছে। আতঙ্কিত হলেও মারুফা আক্তার তার সহকর্মী মোটরসাইকেল চালক লুৎফর রহমানকে সাবধানে থামতে বলেন। গাড়ি দাঁড় করিয়ে সাপের একটা ছবি তুলেন। এরই মধ্যে অনেক যানবাহন ভিড় করে সৃষ্টি হয় যানজটের। আর উৎসুক জনতার আগমনে সাপটি গাড়ির ভেতরে ঢুকে যায়। তাৎক্ষণিক কলেজ মোড় এলাকার আইনুল মেকারের দোকানে গাড়িটি নিলে ভিড় বাড়তেই থাকে। সেই সঙ্গে যানজট। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় মোটরসাইকেল মেকানিক দিয়ে খুলে বের করা হয় সাপটি। উৎসুক জনতা তাৎক্ষণিক মেরে ফেলে সাপটিকে।
আরডিআরএস কর্মী লুৎফর রহমান জানান, শাখা ম্যানেজার মারুফা আক্তার জরুরী কাজে অফিসের মোটরসাইকেল নিয়ে আমাকে বের হতে বলেন। পেছনের আরোহী ছিলেন তিনি (মারুফা)। আমরা বিশেষ কাজে মোটরসাইকেলযোগে শহরে আসতেছিলাম। হঠাৎ শহরের পৌরবাজার এলাকায় দেখি গাড়ির মিটারের ওপর একটি বিষাক্ত সাপ ফণা তুলে আমাকে দেখছে। ম্যাডাম আতঙ্কিত হয়ে দাঁড়াতে বলেন। আমি কৌশলে গাড়িটি দাঁড় করিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলি। পরে সাপটি গাড়ির ভেতর ঢুকে যায়। ধারণা করছি আমাদের অফিসের চারিদিকে জঙ্গল সেই জঙ্গল থেকে সাপটি গাড়িতে উঠতে পারে। যাইহোক আল্লাহ পাক আমাকে বাঁচিয়েছে।
আরডিআরএস দাশের হাট শাখার ম্যানেজার মারুফা আক্তার বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সব সময় কাজ করতে হয়। এত বড় ঝুঁকিতে পড়তে হবে স্বপ্নেও ভাবিনি। আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গেছি। আমাদের অফিসটির চারদিকে প্রচুর জঙ্গল সাপের আঁকড়া। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। যেন ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা আর না ঘটে।
