গরুর জন্য অঝোরে কাঁদছে শিশুটি

চিত্ত পালমার বাড়ি কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বরদল বাঙালি খ্রিস্টান পাড়ায়। তিনি প্রায় দুুই বছর আগে একটি গরুর বাছুর লালন পালন শুরু করেন। চিত্ত পালমার ১০ বছর বয়সী মেয়েসহ তার পরিবারের সব সদস্যের পরম মমতায় বেড়ে ওঠে ‘ছোট্ট’ নামের ওই গরুটি।
এ বছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বুধবার বিকেলে বিক্রি করে দেওয়া হয় গরুটি। গরুটিকে বিদায় দেওয়ার সময় নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি চিত্ত পালমার মেয়ে চাঁদনি। ষাড়টিকে বিদায় দেওয়ার সময় অঝোরে কাঁদতে থাকে সে।
চিত্ত পালমা সমকালকে বলেন, চাঁদনী প্রতিদিন ছোট্ট নামের গরুটিকে খাওয়াতো নিজ হাতে। গরুটিকে আদর যত্ন করে কাটতো তারা সারা দিন। বিদায় বেলায় মন তার ভেঙেচুরে তো যাবেই। কিছু কিছু ভালবাসা হয় মানুষ ও প্রাণীর মাঝে।
মানুষের মতো স্মৃতিশক্তি হয়তো প্রাণীদের নেই। তাই তারা স্মরণে রাখতে পারে না কারও উপকার কিংবা ভালবাসার কথা। তবে কিছু কিছু প্রাণী, মানুষের ভালবাসার প্রতিদান ঠিকই দেয়।
চিত্ত পালমা ১ লাখ ৯ হাজার টাকায় ষাঁড় গরুটি বিক্রি করেছেন একই উপজেলার ঘনিচা রানীগাঁও গ্রামের নয়ন মিয়ার কাছে। নয়ন মিয়া কোরবানির জন্য গরুটি কিনেছেন বলে জানা গেছে।
সুত্রঃ সমকাল