National News

এক নেতাসহ ২ হা’মলাকারীকে যেভাবে আ’টক করা হয়

দু’র্বৃত্তের হা’মলায় আ’হত ঘোড়াঘাট উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অব’স্থা সং’কটাপন্ন- এমন মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের চিকিৎ’সকরা।

হাসপাতালটির পরিচালক দীন মোহা’ম্মদ বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার মা’থার আ’ঘাত অনেক জ’টিল ও গু’রুতর। তবে রাত সাড়ে ৯টায় তাকে অ’স্ত্রোপ’চার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। অ’স্ত্রপ’চার শেষে বৃহস্পতিবার দিববাগত রাত ১২টার দিকে।

তিনি জানান, ইউএনও ওয়াহিদার মাথার জ’টিল অ’স্ত্রোপ’চার করতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল ওই অ’স্ত্রপ’চার করেন। তিনি বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় ভা’ঙা হাড়ের সাত-আটটি টুকরা ছিল। সেগুলো অ’স্ত্রপচা’রের মাধ্যমে জোড়া লাগানো হয়েছে। যেহেতু মা’থার আ’ঘাত, তাই সময় লাগবে।

আগামী ৭২ ঘণ্টা তার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। তিনি আশাবাদী ওয়াহিদা সুস্থ হয়ে উঠবেন। তিনি আরও বলেন, রোগীর ডান পাশ প্যারালাইজড ছিল। আশা করছি সচল হয়ে যাবে। তবে সময় লাগবে। আ’ল্লাহ ভরসা।

মাথার খুলির হাড় ভে’ঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। এটি মস্তিষ্কের ওপর চা’প সৃ’ষ্টি করেছে প্রচণ্ডভাবে। ভেতরে র’ক্তক্ষ’রণ হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল না। ব্লাড প্রেশার কমে গেছে। জ্ঞানের মাত্রা সাধারণ মানুষের মতো নেই; যদিও তিনি কথাবার্তা বলার চে’ষ্টা করছেন।

ইউএনওর চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। এই দলে আছেন হাসপাতালের পরিচালক দীন মো’হাম্মদ, নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক জাহেদ হোসেন, হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক বদরুল আলম, চিকিৎসক এমএম জহিরুল হক, চিকিৎসক আমিন মো’হাম্মদ খান, চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান ও চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার মল্লিক।

এদিকে নির্বাহী কর্মক’র্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হা’মলার ঘ’টনায় যুবলীগ নেতাসহ দুজনকে আ’টক করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও পুলিশের যৌথ অ’ভিযানে তাঁদের আ’টক করা হয়।

হাকিমপুর থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ আ’টক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আ’টক দুজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজে’লার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২)। অন্যজন একই উপজে’লার রানীগঞ্জ কষিগারি এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে।

জাহাঙ্গীর ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজে’লা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। দিনাজপুর-৬ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় এমপি শিবলী সাদিক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর বে’পরোয়া টাইপের। কিছুদিন আগে আমার ওপরও হা’মলার চে’ষ্টা করেছিলেন।’

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট থা’নার পু’লিশের একটি দল ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে হাকিমপুর উপজে’লার কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আ’টক করে আসাদুলকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রংপুর রেঞ্জের অফিসে। তবে কী কারণে ইউএনওর ওপর তাঁরা হা’মলা করেছে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

হাকিমপুর থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আ’টক করা দুজন মা’দক সে’বনকারী ও ব্যবসায়ী। তাঁদের বি’রুদ্ধে থা’নায় কয়েকটি মা’দক মা’মলা রয়েছে। তবে কী কারণে ইউএনওর ওপর তাঁরা হা’মলা করেছেন, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

পাঠকের মতামত:

Back to top button