কারাগারে ওসি প্রদীপ যে আবদার করে বসলেন

কারাগারে ওসি প্রদীপ – জে’লে ভাল আছেন ওসি প্রদীপ কুমা’র। শুক্রবার পুরোদিন বেশ হাসিখুশি ছিলেন। কুমা’রের মতোই ফুরফুরে মেজাজে দিন পার করেছেন তিনি। জে’লকর্মীদের জানিয়েছেন, এইগুলো সব বোগাস! সব তামাশা। তিনি কোন অন্যায় করেননি। তার কিছুই হবে না। তিনি জে’লকর্মীদের সঙ্গে হাসিখুশি কথা বলেছেন। তাদের কাছে শুধু একা থাকার সুবিধা চেয়েছেন।বলেছেন, আমা’র রুমে আমি একা থাকতে চাই। আমা’র সঙ্গে আর কাউকে দেবেন না।
জে’ল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে জানান, জে’লে একা থাকার সুযোগ আছে। তাছাড়া তারা রি’মা’ন্ডের আসামী। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সবাইকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের রি’মান্ডের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
প্রদীপের হাতে নি’র্যা’তিত ও জে’লে অ’ন্তরীণ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান ও ওসি প্রদীপের উত্ত’প্ত বাক্য বিনিময়- এমন একটি সংবাদের দৃ’ষ্টি আক’র্ষণ করা হলে তিনি ওই সংবাদ সঠিক নয় বলে জানান। বলেন, দু’জন দুই জায়গায় থাকেন। একজনের সঙ্গে আরেকজনের দেখা সাক্ষাতের কোন সুযোগ নেই।
নাম প্র’কাশ না করার শ’র্তে এক জে’লকর্মী জানান, ওসি প্রদীপ কুমা’র দাশের হাসিমাখা চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি চাঞ্চ’ল্যকর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ হ’ত্যা মা’মলায় জে’লে আছেন। শুনানির দিন আ’দালত ভবনেও হাসিখুশি ছিলেন ওসি প্রদীপ। একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, আ’দালত ভবনে ওসি প্রদীপ যতক্ষণ ছিলেন, হাসি-ঠা’ট্টা করে সময় পার করেছেন।
গত ৩১শে জুলাই খু’ন হওয়া মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের বড়বোন ও মো. শামসুজ্জামানের সহধ’র্মিণী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস (৪২) বাদী হয়ে প্রদীপ কুমা’র দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আ’সামী করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালতে গত ৫ই আগস্ট সকালে হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করেন।
গত ৬ই আগস্ট টেকনাফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালত (আ’দালত নম্বর-৩) এর বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহা. হেলাল উদ্দিনের আ’দালতে ৭ আসামী সা’রেন্ডার করে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে সকলকে জে’ল হা’জতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে একই আ’দালতে মা’মলার তদ’ন্তকারী কর্মক’র্তা (আইও) এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আ’দালত আসামী প্রদীপ কুমা’র দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দলাল র’ক্ষিতকে ৭ দিন করে রি’মান্ড মঞ্জুর ও বাকী’ ৫ আসামীকে ২ দিন জে’ল গেটে জিজ্ঞা’সাবাদ করার আদেশ দেন।
শুক্রবার এক আদেশে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমা’র দাশ ও বাহারছরা পু’লিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের প্রত্যা’হারকৃত ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে পু’লিশ সদর দপ্তর থেকে এবং জে’লে যাওয়া অবশিষ্ট ৫ জনকে পু’লিশ সুপার বর’খাস্ত করেছেন।
কক্সবাজারের পু’লিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) জানান, টেকনাফ থা’নার মা’মলা নম্বর : ৯/২০২০, যার সিআর মা’মলা নম্বর : ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ) মা’মলায় ৭ আসামীর জামিন আবেদন নাকচ হয়ে জে’লে যাওয়ার পর প্রদীপ কুমা’র দাশ ও লিয়াকত আলী ইন্সপেক্টর হওয়ায় তাদেরকে পু’লিশ সদর দপ্তর থেকে এবং বাকী’ ৫ জন যথাক্রমে এসআই নন্দলাল র’ক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে তাৎ’ক্ষণিক চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বর’খাস্ত করা হয়েছে।
সুত্র : মানবজমিন