গোমর ফাঁস: যে চিকিৎসকের ছায়াতলে ছিলেন সাবরিনা

চিকিৎসকের ছায়াতলে – করোনাভাইরাসের পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার ঘটনায় জেকেজি’র চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তারের পর এরই মধ্যে তিন দিনের রিমান্ডও দিয়েছেন আদালত। অথচ তাকে নিয়ে মিডিয়ায় আলোচনা যেন শেষই হচ্ছে না।
গণমাধ্যমে এখন ‘টক অফ দা টাউন’-এ পরিণত হয়েছেন এই চিকিৎসক। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগকে অনিয়মের স্বর্গরাজ্য করে রেখেছিলেন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।
অবশ্যই তার একার পক্ষে এতটুকু করা সম্ভব ছিল না, যদি না ছায়াতলে থাকতেন ‘ইউনিট প্রধান’ ডা. কামরুল হাসান মিলন।
ঘটনা হলো, গত একটি বছর ধরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারির বিভাগীয় প্রধানের কক্ষ এবং পদবি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন মিলন। তাদের অনিয়মে অতিষ্ঠ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এমনকি তাদের ক্ষমতায় জর্জরিত ছিলেন বর্তমান বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রামাপদ সরকারও। হাসপাতালের ছোট্ট একটি কক্ষে নেমপ্লেট লাগিয়ে কোনোমতে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
এদিকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের একটি ইউনিটের প্রধানের দায়িত্বে আছেন ডা. কামরুল হাসান মিলন। তার অধীনেই রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।
সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যমে, তার একটি হলো, অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন সেই চিকিৎসক (ডা. কামরুল হাসান মিলন) ও সাবরিনা। আর তাদের ঘনিষ্ঠতা নিজ চোখে দেখে চটে গিয়েছিলেন তার বর্তমান স্বামী আরিফ চৌধুরীও।
এ নিয়ে হাসপাতালের ভেতরেই মিলনের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান জেকেজি কর্নধার আরিফ। এ ঘটনায় জিডিও হয়েছিল থানায়।
এদিকে আরও অভিযোগ উঠেছে, মিলনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি তার ছত্রছায়াতেই অনিয়মের চূড়ায় উঠেছিলেন ডা. সাবরিনা। দিনের পর দিন হাসপাতালে অনুপস্থিত থেকেও নাম উঠে যেত হাজিরা খাতায়। পুরো মাস কাজ না করেই নিতেন বেতন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালটির একজন স্টাফ গণমাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওনাকে গত মাসে একদিনও আমি দেখিনি। তাও বেতন নিয়েছেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চুপ ডা. কামরুল হাসান মিলন। গণমাধ্যমে কোনও কথায় বলতে রাজি নন তিনি। শুধু এইটুকু বলেছেন, পরিচালক সাহেব বলেছেন, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার আগে তাকে জানাতে।
আমারসংবাদ/জেডআই