জ্ঞান ফেরার পর স্বামীর সঙ্গে যা বললেন ঘোড়াঘাটের ইউএনও

জ্ঞান ফেরার পর – দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের জ্ঞান ফিরেছে। জ্ঞান ফেরার পর ওয়াহিদা খানম তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
শুক্রবার ঢাকার নিউরো সাইন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বামী রংপুরের পীরগঞ্জের ইউএনও মো মেজবাউল হোসেন।
ওয়াহিদা খানমের বড়ভাই শেখ ফরিদ উদ্দীন জানান, শুক্রবার সকালে ছোট বোন ওয়াহিদা হাসপাতালে তার স্বামী মেসবাউল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। কথা বলতে পেরেছে এতে আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। জ্ঞান ফিরেই ওয়াহিদা খানম তার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করেন, কেমন আছো? এ সময় স্বামী মেসবাউল হোসেন তার স্ত্রীর স্মৃতি ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমি কে?’
উত্তরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে ওয়াহিদা খানম বলেন, ‘আদিয়াতের বাবা।’
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরোসার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত তার সব প্যারামিটার খুবই ভালো। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট কেমন আসে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। খুবই ভালো খবর। তার সিটি স্ক্যানের শতভাগ ভালো রিপোর্ট এসেছে।
জ্ঞান ফেরার পর তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
গত বুধবার গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ভেনটিলেটর ভেঙে প্রবেশ করে তার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ওয়াহিদার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও জখম করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত ইউএনও ও তার বাবাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।