সারারাত জেগে থানা হাজতে কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সাবরিনা?

করোনাভাইরাসের পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার ঘটনায় জেকেজি’র চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর তেজগাঁও থানার হাজতখানায় রাত কাটিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, হাজতখানায় সারারাতই জেগে ছিলেন ডা. সাবরিনা। কিছুক্ষণ পর পর একজন নারী প্রহরীর কথাও বলেছেন তিনি। এছাড়া হাজতখানার ভেতরে বসে-দাঁড়িয়ে-পায়চারি করে সময় কাটিয়েছেন সাবরিনা।
আরও জানা গেছে, গ্রেপ্তারের দিন থানায় নেওয়ার পর তাকে কিছুক্ষণ একজন পুলিশ কর্মকর্তার কক্ষে বসানো হয়েছিল সাবরিনাকে। এরপর তাকে হাজতে রাখা হয়। প্রথম রাতটা তিনি ওই হাজতেই ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তেজগাঁও থানার এক কর্মকর্তা একথা জানান, থানা হাজতেই সাবরিনাকে রাখা হয়েছে। আমাদের দু’জন নারী প্রহরী সেখানে ডিউটিতে ছিলেন। তাদের সঙ্গে মাঝে মাঝে কথাও বলেছেন।
এদিকে সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে পুলিশ পাহারায় সাবরিনাকে আদালতে নেওয়া হয়। ওই সময় পুলিশ তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড চাইলে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরির জন্য ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল।
পরে ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মিলেছে। আর আরিফ চৌধুরীও জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, জেকেজির ৭ থেকে ৮ জন কর্মী ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করতেন।
এদিকে ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তারের পর রোববার বিকেলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এক অফিস আদেশে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরইমধ্যে ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।