National News

সেই পাপিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো সাহেদের

সেই পাপিয়ার সঙ্গে – বিভিন্ন অভিযোগে কারাগারে থাকা শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের। শুধু তাই নয় তারা দুইজনে একটি হোটেলের ছাদে একসঙ্গে পার্টি করতেন। তারা দুজন একাধিক পার্টিতে একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বলে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ও প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর একটি থ্রি-স্টার হোটেলের প্লাটিনাম মেম্বার সাহেদ। ওই হোটেলের ছাদে একাধিক পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন তারা। শাহেদের প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মীর বরাতে এ তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

এছাড়া প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের দিকে উত্তরায় রিজেন্ট ক্লাব গড়ে তোলেন শাহেদ। এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল পাপিয়ার। তবে পাপিয়া ওই অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি।

এজন্য তার মনোনীত একজন প্রতিনিধি পাঠান। পাপিয়ার পাঠানো ওই তরুণীকে নিয়েইরিজেন্ট ক্লাব উদ্বোধন করেছিলেন শাহেদ। ক্লাবের আড়ালে সেখানে মূলত মদ ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আসর বসানো হতো বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থেকে দুই সহযোগী ও স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনসহ পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যমানের জাল মুদ্রা, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।

একদিন পর ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি অবৈধ অস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদসহ আরও দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় বিমানবন্দর থানা ও শেরে বাংলানগর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদক ও অস্ত্র আনে তিনটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব। মামলাগুলো প্রথমে থানা পুলিশ ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পাপিয়া ও তার স্বামী মতি সুমন নানা অপকর্ম করে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হন। পাপিয়া গুলশানের পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিনের ভিআইপি স্যুট ভাড়া নিয়ে সেখানেই মাসে কোটি টাকা বিল পরিশোধ করতেন। তার বিরুদ্ধে জোর করে তরুণীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করানো এবং সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এদিকে, রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং এর মধ্যে আট জনকে আটক করা হয়েছে। সাহেদকে আটক করার জন্য অভিযান চলছে বলে জানায় র‍্যাব।

মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ, বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে।

পাঠকের মতামত:

Back to top button