ঈদের জামায়াত-কোরবানির বিষয়ে ১৩টি নির্দেশনা মন্ত্রণালয়ের

ঈদের জামায়াত – স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার নামাজ মসজিদে আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে শিশু, বৃদ্ধ এবং যে কোনো ধরনের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিকে জামায়াতে অংশ না নেয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়। যাতে মসজিদে ঈদের জামায়াত ও কোরবানির বিষয়ে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় ঈদের জামায়াত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে আদায় করতে হবে।
নামাজের সময় মসজিদে কোনো কার্পেট বিছানো যাবে না। মুসল্লিরা যার যার বাসা থেকে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন এবং নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে আসবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো যাবে না।
সেইসঙ্গে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মসজিদের প্রবেশ দ্বারে হ্যান্ডস্যানিটাইজার অথবা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব অপরিবর্তিত থাকায় দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ওলেমাগণ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে গত ১২ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় এইসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।