আগেও বিয়ে হয়েছিল সাবরিনার, ২ সন্তানও আছে!

করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের রিপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর আগেও বিয়ে হয়েছিল। প্রথম সংসারে তার দুই সন্তান আছে। তবে জিকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীকে বিয়ে করার পর তাদের কোনও সন্তান হয়নি।
করোনা ভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে তেজগাঁও থানা পুলিশের করা এক মামলায় গতকাল রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডা. সাবরিনাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগীয় উপকমিশনারে (ডিসি) কার্যালয়ে ডা. সাবরিনাকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেয়াসহ নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ চৌধুরীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডা. সাবরিনা দাবি করেন, দুই মাস আগে তাদের তালাক হয়ে গেছে। এখন তাদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।
অথচ ডা. সাবরিনার ঘনিষ্ঠজন সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রনি নামে সাবরিনার এক ব্যবসায়ী বন্ধু থাকেন। মাঝেমধ্যেই নিজে গাড়ি চালিয়ে রনির বাসায় যেতেন ডা. সাবরিনা। তাদের মধ্যে বেশ সখ্যতাও ছিল।
এদিকে তেজগাচও পুলিশের করা অভিযোগে জানা যায়, ডা. সাবরিনা যে মোবাইল সিমটি ব্যবহার করছেন সেটি এক রোগীর নামে নিবন্ধন করা। পুলিশ বলছে, এটিও একটি বড় অপরাধ। এ বিষয়ে সাবরিনা কিছু জানতেন না বলে সাংবাদিদের জানান।
সৈয়দ মোশাররফ হুসাইন নামে এক সাবেক আমলার মেয়ে সাবরিনা পড়ালেখা করেছেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। ২৭তম বিসিএসে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। পুরো নাম ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন। আরিফ চৌধুরীকে বিয়ের পর নাম পাল্টে হয়ে গিয়েছিলেন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।
করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা জালিয়াতির ঘটনায় আরিফ চৌধুরী অন্যতম সহযোগী হিসেবে গ্রেফতার হওয়া সাবরিনার নানা আবেদনময়ী ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। তার ছবি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যাপক ট্রল চলছে।