National News

রোজার চড়া বাজারদরে অস্বস্তিতে সাধারণ ক্রেতা

রাজধানীর বাজারে স্বস্তি ফিরেনি। ইফতার সামগ্রির দাম বাড়ছেই। রোজা শুরু হতেই লাফিয়ে বাড়ছে লেবুর দাম। খুচরা বাজারে মান ভেদে প্রতি হালি লেবুর দাম পড়ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।

রেকর্ড দ্রব্যমূল্যের বোঝা মাথায় নিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। ব্রয়লারসহ সব ধরনের মাংসের দাম অধিকাংশ মানুষের নাগালের বাইরে। পণ্যের দাম নিয়ে অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, এবার হতে চলেছে দেশের সর্বকালের খরুচে রমজান।

শনিবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, মৌসুম না হওয়ায়, বছরের এ সময়ে বাজারে লেবুর সরবরাহ কম থাকায় চড়েছে লেবুর বাজার। পাশাপাশি শসা, বেগুনের দামও বেশ বাড়তি। বেড়েছে পাকা কলার দামও। মাঝারি আকারের লেবুর হালি ৬০ টাকা। বড় আকারের লেবুর হালি ১০০ থেকে ১১০ টাকা।

এছাড়া নতুন করে শসা ও বেগুনের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বেগুনের কেজি ৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে ৬০ টাকা কেজির বেগুনও আছে।

অন্যদিকে চিনি আমদানিতে সরকারের শুল্কছাড়ের প্রভাবও দেখা যাচ্ছে না বাজারে। শুল্ক কমানোর পর সরকারি হিসাবে চিনির দাম আরও ২ শতাংশ বেড়েছে। গত ৭ মাসে চিনির দাম চারবার বেঁধে দিয়েও বাজারের লাগাম টানতে পারেনি সরকার।

এছাড়া বাজার তথ্য আরও বলছে, এখন খোলা চিনির দাম ১১৫-১২০ টাকা কেজি ছুঁয়েছে, যা গত বছরের রমজানে ছিল ৮০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ, চিনির ক্ষেত্রে ভোক্তার খরচ বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। যদিও সরকার নির্ধারিত চিনির দাম ১০৭ টাকা, কিন্তু এ দামে ক্রেতারা কিনতে পারছেন না কোথাও।

একই অবস্থা সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রেও। খোলা সয়াবিন ১৬৭-১৭২ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত রমজানে ১৪০ টাকার কমে পাওয়া যেত। বোতলজাত সয়াবিনের দাম প্রায় একই সময়ের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে এখন ১৮৫ থেকে ১৮৭ টাকায় কিনতে হচ্ছে। অর্থাৎ, দাম বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।

পাঠকের মতামত:

Back to top button